স্কুল ক‍্যাম্পাসে গাছের মৃত্যু : নজিরবিহীন চাপানউতোর দুই শিক্ষকের মধ‍্যে

27th June 2021 9:49 am বর্ধমান
স্কুল ক‍্যাম্পাসে গাছের মৃত্যু : নজিরবিহীন চাপানউতোর দুই শিক্ষকের মধ‍্যে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : গাছের মৃত্যু নিয়ে বিতর্কে নতুন মোড়। গাছের মৃত্যু রহস্যজনক দাবি করে থানায় অভিযোগ করেছিলেন প্রাথমিকের প্রধানশিক্ষক।আর; আজ তার বিরুদ্ধেই পালটা থানায় অভিযোগ করলেন হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক।

বৃহস্পতিবার গাছের মৃত্যু নিয়ে থানায় অভিযোগ হয়। অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক। শুক্রবার প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষকের নামেই অভিযোগ করলেন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। গাছের মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক চাপানউতোর বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল  স্কুলে। বর্ধমান শহরের টাউন হলের উল্টোদিকেই রয়েছে মিউনিসিপ্যাল  স্কুল।এটি শহরের সবচেয়ে নামী স্কুল। এই স্কুলের হাইস্কুলের সঙ্গেই চলে প্রাথমিক বিদ্যালয়।স্কুল সূত্রে জানা গেছে,  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পৃথক প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষকমন্ডলী থাকলেও আদতে স্কুলটি হাইস্কুলের সঙ্গেই বহুদিন থেকেই সংযুক্ত। ঘটনার সুত্রপাত; বৃহস্পতিবার বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের একটি প্রাচীন শিরিষ গাছের মৃত্যু নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, গাছটিকে কে বা কারা মেরে ফেলেছে। এই বিষয়ে উপযুক্ত তদন্তের দাবিও করেন তিনি।  অভিযোগ পেয়ে পুলিশও স্কুলে এসে তদন্ত শুরু করে।

 এতেই নতুন মোড় আজ। এদিন বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল  হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী  পাল্টা প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। শম্ভুনাথবাবু দাবী করেন, প্রাথমিক বিভাগের কোনও সম্পত্তি স্কুলে নেই। প্রায় সমস্তটাই হাইস্কুলের। তাই যদি কোনও গাছের ক্ষতি হয়ে থাকে সেটা উনি আমাদের জানাতে পারতেন। তা না করে; বিশ্বজিৎবাবু নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। একইসঙ্গে স্কুলে পুলিশ ডেকে সুনাম নষ্ট করেছেন। তাঁর আরও দাবি, গাছের মৃত্যু নিয়ে কোন সংশয় থাকলে সেটা বনদপ্তরে জানানো যেত। পুলিশে জানানোর কোন দরকার ছিল না।
শুধু প্রধান শিক্ষক নয়, এই বিষয়ে সরব হয়েছেন প্রাক্তনীরাও। ফেসবুকে স্কুলের কিছু প্রাক্তন ছাত্র প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাদের মতে, গাছটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এবং স্কুলে পুলিশ ডাকা ঠিক হয়নি। 
    যদিও পুলিশসূত্র থেকে  জানা গেছে।দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি বনদপ্তরকে পাঠানো হয়েছে।

.গতকাল একটি গাছের মৃত্যুকে নিয়ে একেবারে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ায় অনেকেই চমৎকৃত হয়েছিলেন। অতীতে পশুর মৃত্যুতে এফ আই  আর হয়েছে। কিন্তু একটি প্রাচীন গাছের মৃত্যু নিয়ে থানায়  অভিযোগের মত ঘটনা স্মরণকালে ঘটেনি।সেই বিতর্ক আজ নতুন মাত্রা পেল পালটা অভিযোগের ফলে। যদিও এই বিষয় নিয়ে বড় আকার ধারণ করেছে স্কুলে দুই প্রধান শিক্ষকের নিয়ে, প্রাইমারি ও উচ্চমাধ্যমিক যদিও এই বিষয়ে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন উনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বলে তাকে হেনস্থা করা হয় এবং তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়, এই বিষয়ে আবারো বর্ধমান থানায় অভিযোগ করা হয়, বিষয়টি দেখছে বর্ধমান থানার পুলিশ ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।